‘ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও ক্যাম্পাসের সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন মো. বশিউল্লাহ। তার বিপদের দিনে আমাদের সকলের উচিৎ পাশে দাঁড়ানো।’
এমনই একটি বার্তা সম্প্রতি ছড়িয়ে যায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) কমিউনিটি ইমেইলে। ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের পাঠানো এ বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনার মো. বশিউল্লাহ’র ছেলে মো. তানজিনের চিকিৎসায় সাহায্যে সকলকে এগিয়ে আহ্বান জানানো হয়। তানজিন দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক বছর ধরে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহে গণঅর্থায়নের মাধ্যমে ৮৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে ইডিইউ। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে সংগৃহিত এ অর্থ বশিউল্লাহ’র হাতে এ অর্থ তুলে দেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর দু’টায় অর্থগ্রহণকালে বশিউল্লাহ ইডিইউ কর্তৃপক্ষসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় সাঈদ আল নোমান বশিউল্লাহ’র ছেলের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। বশিউল্লাহর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইডিইউ একটি পরিবারের মতো। বৈষম্যহীন পরিবেশে সকলে মিলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধ ও সহমর্মিতার বোধ গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট। ইডিইউ গ্র্যাজুয়েট অ্যাট্রিবিউটে এ বিষয়ে সবিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এক বছর আগে দুর্ঘটনায় তানজিনের গোড়ালি ভেঙে যাওয়ায় প্রথমে পায়ে রড লাগানো হয়। কিন্তু এক মাসেও তা জোড়া লাগেনি যক্ষার কারণে। পরে যক্ষার চিকিৎসা করালেও এ সময়ের মধ্যে পায়ের হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তার পায়ে প্লেট বসাতে হবে। আর এতে প্রয়োজন প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। এক বছর ধরে ছেলের চিকিৎসাব্যয় নির্বাহের পর এই খরচ মেটাতে অপারগ বশিউল্লাহ। তাই, তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ৩৫ হাজার টাকা ফান্ডে যুক্ত হয়। ইডিইউর সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব, এরুডিশন ক্লাব ও মান (গটঘ) ক্লাবের সদস্যরা স্ব-উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থসংগ্রহ করে। এছাড়া ইডিইউর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দেন ৫০ হাজার টাকা।
তবে, তানজিনের চিকিৎসাব্যয় নির্বাহে এ অর্থ পর্যাপ্ত নয়। এক্ষেত্রে সমাজের সামর্থ্যবান শ্রেণীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ইডিইউর সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব, এরুডিশন ক্লাব ও মান ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবগুলো তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।