মায়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে আগলে রাখে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। অভিভাবক হিসেবে শিক্ষার্থীসহ কর্মরত প্রত্যেকের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে সচেষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় কর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা, অনুপ্রেরণা কম নয়। সকলে মিলেই তাই ইডিইউ একটি পরিবার।
গতকাল ৯ মে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ইডিইউ ক্যাম্পাসে মা দিবস ও ঈদ ফ্যামিলি নাইট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
এদিন ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনীর লক্ষ্যে এই ফ্যামিলি নাইটে ইডিইউতে কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় পরিণত হয় ইডিইউ প্রাঙ্গণ। প্রত্যেকে তাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অংশ নেয় এতে।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে হাজির হন উপমহাদেশের প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, তার সহধর্মিনী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আনজুমান আরা ইসলাম, বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম, মেজর এমদাদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল কাইউম চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা সাঈদ আল নোমান আরো বলেন, গত দু’বছর পুরো পৃথিবীর মতো দুঃসময় নেমে এসেছিলো ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতেও। সেই চরম ক্রান্তিলগ্নেও আমরা সর্বতোভাবে আমাদের পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় শূন্যের কোটায় নেমে আসা সত্ত্বেও সময় মতো প্রতিটি বেতন-বোনাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি। সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে শহরের অন্যতম সেরা হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। করোনায় প্রয়োজনীয় মুহূর্তে চিকিৎসাসামগ্রী ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। এমনকি, করোনাকালে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় ৩৩ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে ১২ লক্ষ টাকার অ্যাওয়ার্ডও দিয়েছি। এসবের একটাই উদ্দেশ্য, আমাদের পরিবারের প্রত্যেকেই যেন ভালো থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করলেও, একটাই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক দল হয়ে কাজ করে, যা বিরল। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ এই দলবদ্ধতাকে আরো অটুট করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ী।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রত্যেককে সাদরে বরণ করে নেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপাচার্য। পরিচয় ও কুশল বিনিময় শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিলিত হন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই। এ সময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান স্বয়ং, এছাড়াও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা ইসলাম, ইডিইউর রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়–য়া, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমদ সিগমা, নুসরাত আজিম তিথি প্রমুখ।